আগামী ডিসেম্বরে নরওয়ের রাজধানী অসলোতে বসবে তরুণ উদ্ভাবকদের মিলনমেলা ‘টেলিনর ইয়ুথ ফোরাম ২০১৬’। এমন তরুণ, যাঁরা নানা সামাজিক সমস্যার প্রযুক্তিগত সমাধানে নেতৃত্ব দিতে পারেন। সেখানে টেলিনর গ্রুপের বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের তত্ত্বাবধানে বাংলাদেশসহ ১৩টি দেশের তরুণেরা অংশগ্রহণ করবেন। গ্রামীণফোনের আয়োজনে গতকাল শনিবার রাজধানীর একটি হোটেলে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে ফোরামে অংশ নিতে ইচ্ছুক তরুণদের জন্য নিবন্ধন শুরুর ঘোষণা দেওয়া হয়। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন গ্রামীণফোনের হেড অব এক্সটার্নাল কমিউনিকেশনস সৈয়দ তালাত কামাল ও সেন্টার অব এক্সপারটাইজ, পিপলস অ্যান্ড অর্গানাইজেশন বিভাগের পরিচালক সৈয়দ তানভীর হোসেন।
এবারের ইয়ুথ ফোরামের অংশীদার হয়েছে নোবেল পিস সেন্টার। মূলত সে কারণেই সম্মেলনের স্লোগান করা হয়েছে ‘ডিজিটালাইজেশন ফর পিস’। তবে তালাত কামাল বললেন, সময়টা যেহেতু সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ার, তাই কিছুটা কাকতালীয় হলেও স্লোগানের এই ‘শান্তি’ বিশ্বব্যাপী শান্তি প্রতিষ্ঠার প্রতিনিধিত্ব করে।
তানভীর হোসেন বলেন, ‘একই সমস্যার অনেক সমাধান হতে পারে। আমরা চাই সবচেয়ে উদ্ভাবনী সমাধান। এই প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে সমস্যার সমাধান তো পাওয়া যাবেই, একই সঙ্গে বিশ্বব্যাপী সমমনা তরুণদের মধ্যে ধারণা আদান-প্রদানও হবে।’
ইয়ুথ ফোরামে অংশ নিতে আবেদন করা যাবে ৬ আগস্ট পর্যন্ত। বয়স ১৮ থেকে ২৮ বছরের মধ্যে হতে হবে। বাছাই প্রক্রিয়া অনুষ্ঠিত হবে কয়েকটি ধাপে। আবেদনকারীদের মধ্যে প্রাথমিকভাবে ১০০টি ধারণা নির্বাচন করা হবে। ধারণা নির্বাচনে ৪০ শতাংশ শিক্ষার্থী, ২০ শতাংশ শিক্ষক এবং বাকি ৪০ শতাংশ, যারা এই দুটি বিভাগে পড়ে না এমন উদ্ভাবকদের প্রাধান্য দেওয়া হবে। এরপর উদ্যোক্তা, শিক্ষক ও গ্রামীণফোনের কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে গঠিত বিচারকদের প্যানেল কয়েকটি ধাপে তিন বিজয়ী নির্বাচন করবেন। তাঁদের ধারণার উপস্থাপনার ভিডিও পাঠানো হবে নরওয়ের মূল বিচারকদের কাছে। সেখান থেকে দুই বা তিনজনের সবাইকে মূল পর্বে আমন্ত্রণ জানাবেন। নিবন্ধন করার ঠিকানা www.telenor.com/youthforum। এ ছাড়া গ্রামীণফোনের ওয়েবসাইট ও ফেসবুক পেজ থেকেও নিবন্ধন ও প্রতিযোগিতা সম্পর্কে তথ্য পাওয়া যাবে।
No comments:
Post a Comment