নদীর নাম সোমেশ্বরী। আমরা দাঁড়িয়ে ছিলাম নদীর তীরে। তীর ছেড়ে পা ফেললেই ধু ধু বালুচর। চরের পর নদীর পানি চিকচিক করছে রোদের আলোয়। সূর্যের উত্তাপ টের পেলাম বালুচরে পা রেখেই! শুধু গরম বললে ভুল হবে, তপ্ত উনুনে পা রাখার শামিল! তবে খানিক বাদেই আমাদের জন্য যে এত প্রশান্তি অপেক্ষা করছে, সেটা কে জানত?..................................
Turist place
we will try to provide a different service to this site we can ensure our service will better than others
Sunday, September 4, 2016
হাজাছড়া শুকনাছড়াই
এ বছর আগস্টের শুরুর দিকে সাজেক উপত্যকা গিয়েছিলাম। খাগড়াছড়ির সাজেক পৌঁছে সেখানকার ঘরবাড়ি, হেলিপ্যাড, মানুষজন, নৃগোষ্ঠীর জীবনযাপন, আর নিসর্গের প্রবল রূপ দেখে মুগ্ধ আমরা। সাজেক থেকে ফেরার পথে আরও কত যে বিস্ময় অপেক্ষা করছিল কল্পনাও করিনি। সাজেককে বিদায় জানিয়ে খাগড়াছড়ি শহরের পথে রওনা হতেই মুঠোফোনে সুমনের ডাক, ‘ভাই হাজাছড়া ঝরনা দেখে আসবেন অবশ্যই।’ ঝরনার কথা শুনে সঙ্গীদের পাশাপাশি আমিও কেমন যেন একটা পুলক অনুভব করলাম। সামনে তাকাতেই দেখি চোখজুড়ানো সবুজ জুম। অনেক দূরে পাহাড়ের গায়ে আটকানো ছোট ছোট ঘরবাড়ি। সে দৃশ্যই যেন টেনে নিয়ে গেল হাজাছড়ার দিকে।................................
Wednesday, August 24, 2016
ঝরনার পথে
বর্ষাকালে বান্দরবান সেজে ওঠে এক অপরূপ সাজে। বৃষ্টির কারণে পাহাড় বেয়ে নেমে আসে বেশ কিছু নাম না জানা নানা রকম ঝরনা। আর সৌন্দর্যকে উপভোগ করার জন্যই নানা প্রতিকূলতাকে উপেক্ষা করে পাহাড়ে ছুটে যাওয়া।
কিছুদিন আগে বর্ষাকালেই দেখা হলো সেসব ঝরনার ছুটে চলা।
কাইক্ষ্যন বান্দরবানে গহিনের এক ঝরনা। ভরা বর্ষায় অমিয়াখুমের রূপ দেখার.........................................
Sunday, August 21, 2016
মুজিবনগরে এক একদিন
মেহেরপুরের ছোট্ট শহর মুজিবনগর। ভোরবেলায় সেই শহরের সবুজ পথ ধরে হাঁটছি। সামনে দেখি উজ্জ্বল সবুজের মাঝখানে লাল রং। যেন আমাদের পতাকা। সেটিই আমাদের লঞ্চ। আমরা পাঁচজন—কণ্ঠশিল্পী শেখ শাহেদ, স্থপতি আসিফ হোসেন, আবু জাফর, অজয় রায় আর আমি। আমরা ঠিক যেন আলোর ওপর দিয়ে এগিয়ে চলেছি। আশপাশের সবটুকুই আমগাছে ঢাকা। সেসব গাছ ভেদ করেই পুরো.......................................
Thursday, August 18, 2016
নীলকুঠিতে
এখানে প্রচুর পাখি আছে। প্রথম দিন বের হয়েই তা বোঝা গেল। দুইটা হাড়িচাঁচা একসঙ্গে বসে আছে দেখতে পেয়ে ক্যামেরা হাতে আবু জাফরের সে কী দৌড়। যখন ফিরে এলেন, তখন তাঁর চোখেমুখে একরাশ হতাশা। সে ক্লিক করার আগেই নাকি হাড়িচাঁচা ফুড়ুৎ। অনেক চেষ্টা করলেন একটা হলদে পাখির ছবি তুলতে, পারলেন না..................................
Wednesday, August 17, 2016
পাহাড়ি ঝরনা
পাহাড়ে ঘুমাতে হবে, এই ব্রত নিয়ে এবার দুই দিনের ছুটি পেয়ে রওনা দিয়েছিলাম মেঘ পাহাড়ের দেশ বান্দরবানে। সঙ্গী ছিল লালমনিরহাটের নাসিরুল আলম মণ্ডল আর বান্দরবানের সব পাড়ায় আত্মীয়তা পাতিয়ে ফেলা নাহিদ ভাই। বান্দরবানের প্রতিটি পাহাড়ের পাড়ায় পাড়ায় এমন কোনো মানুষ নেই যে নাহিদ ভাইকে চেনে না। বান্দরবানের আকাশে যতবার চাঁদ দেখা যায়, তার চেয়েও বেশি নাকি দেখা যায় নাহিদ ভাইকে! তিনজনের সঙ্গী হিসেবে রুমা বাজার থেকে যোগ দিলেন গাইড আলমগীর ভাই। এই মানুষটা অসাধারণ, আজ পর্যন্ত যতবার আমি বান্দরবান গিয়েছি, উনি আমাকে খুঁজে নিয়েছেন, এবারও বাজারে আমাদের দেখে দৌড়ে এলেন, এক কাপড়েই রওনা দিলেন অজানার উদ্দেশে। একবারও জিজ্ঞেস করলেন না—কই যাব, কয় দিন থাকব! একবার শুধু জিজ্ঞেস করছিলাম, আলমগীর ভাই, এক কাপড়ে রওনা দিলেন! উনি চোখ লাল করে আমার দিকে তাকিয়ে বললেন, ‘আপনি লুঙ্গি আনছেন না? তাইলেই হইব..................................................
সূর্য নেমে যায় যেন সমুদ্রে
Tuesday, August 16, 2016
নিঝুম দ্বীপ
নিঝুম দ্বীপ প্রথম যাই ২০০২ সালে, এরপর ২০০৪ সালে আরেকবার। সেসব স্মৃতি আবছা। গত অক্টোবরের একদিন আবার নিঝুম দ্বীপ রওনা হলাম। সঙ্গী নাজমূল হক, রাজীব রাসেল, আবদুল বাতিন, নাজিম, মাসুম আর নীরব। ঢাকা থেকে ফারহান-৪ লঞ্চের যাত্রী হয়ে হাতিয়ার জাহাজঘাট তমরুদ্দি পর্যন্ত খুব আরামের ভ্রমণ। তারপর অটোরিকশায় ভাঙা রাস্তার ঝাঁকুনি খেতে খেতে দেড় ঘণ্টায় মোক্তার ঘাট পৌঁছাই। মোক্তার খাল পেরিয়ে এবার.......................................
হেঁটে হেঁটে ঝিরিপথে
বিকেল চারটা। ট্র্যাকে হাঁটা শুরু হয়েছিল ভোর পাঁচটায়। শেষের দিকে দড়ি বেয়ে বেয়ে (রোপ ক্লাইম্বিং) পাহাড়ের যেখানে উঠে এসেছি, তার সামনে তাকাতেই দৃষ্টি আর সরে না। আমরা যেন পাহাড়ের ওপর নয়, পৃথিবীর মাথায় দাঁড়িয়ে স্বপ্ন দেখছি। আকাশ থেকে জলাধার এসে আমাদের ভিজিয়ে দিচ্ছে, আর ভাসিয়ে নিয়ে যাচ্ছে পানির ঝাপটায়। বিভোর আমরা। অন্য কিছুতেই খেয়াল নেই। একদৃষ্টিতে তাকিয়ে........................................
Sunday, August 14, 2016
এশিয়ার সুইজারল্যান্ড
শান্তিপ্রিয় এক দেশ। অনেকে জায়গাটিকে ‘এশিয়ার সুইজারল্যান্ড’ হিসেবেও আখ্যায়িত করে থাকেন। করবেনইবা না কেন! বৈচিত্র্যপূর্ণ জলবায়ু, সবুজ উপত্যকা, হাজার হাজার ফুট উঁচুতে তৈরি পাথুরে রাস্তা, পাহাড়ের ঢালে ধাপে ধাপে নানা কসরতে লাগানো দৃষ্টিনন্দন জুমখেত, কাঠ-পাথর-টিনে তৈরি ঐতিহ্যবাহী বাড়িঘর, পাহাড়ি নদী, শীতের তুষারপাত আর মাথা উঁচু করে সগর্বে দাঁড়ানো হিমালয়—এসব কিছু নিয়েই,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,
অবসর থেকে অবকাশ
অবসর থেকে অবকাশ নিয়েছেন কখনো?
শিকাগো থেকে শীতের ছুটিতে ঢাকায় আসা হলো যখন, পরিকল্পনা মোটামুটি আত্মীয় বাড়ি আর বিয়ে বাড়ি ঘোরাঘুরির মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল। কিন্তু একটানা কাচ্চি বিরিয়ানি আর কত খাওয়া যায়? তার মধ্যে আবার আবাসিক এলাকায় থেকেও ২৪ ঘণ্টা চারপাশে ইমারত নির্মাণের আওয়াজ। কোথায় পাব সবুজ-শ্যামল বাংলা মায়ের বিছানো আঁচল? পাখির কিচিরমিচির? সঙ্গে চাই ইন্টারনেট সংযোগ আর কলে গরম পানি। যাবতীয় আরাম-আয়েশ ছাড়া চলবে না কিন্তু.............................................
Tuesday, August 9, 2016
যদি আশ্চর্য টিলার যাত্রী হতে চান
ফোসস করে একটা হতাশার নিশ্বাস ফেললেন ফিরোজ খান, ‘টুয়েলভ এপাসল আমার যাওয়া হচ্ছে না।’ প্রমাদ গুনলাম আমরা। গ্রেট ওশান রোডের পাহাড়ি বিপজ্জনক পথে বাংলাদেশি প্রতিবেশী ফিরোজ খানই যে আমাদের মূল ভরসা। ফিরোজ খান যদি শেষ মুহূর্তে ফসকে যান, তবে গাড়ি চালাবে কে? তাহলে দরকার নেই এত ঝুঁকি নিয়ে সাগরের মাঝে জেগে ওঠা ওই সব পাথুরে টিলা দেখতে যাওয়ার। আশা ছেড়েই দিয়েছিলাম। কিন্তু বড় ভাই তারিকুল হাসান চৌধুরী সম্পূর্ণ অপ্রত্যাশিতভাবে কঠিন শপথ করে ফেললেন, ‘আমি একাই চালাব গাড়ি।’ অতএব, পরদিনই সকাল সকাল আমরা রওনা হলাম মেলবোর্ন থেকে টুয়েলভ এপাসলের পথে। জায়গাটার কাগুজে নাম পোর্ট ক্যাম্পবেল পার্ক। ওখানেই নীল সাগরের মাঝখানে জেগে উঠেছে ১২ খানা আশ্চর্য সুন্দর পাথুরে টিলা। যিশুখ্রিষ্টের সঙ্গীদের নামানুসারেই তাদের এই নাম................................
Monday, August 8, 2016
আমাদের সোনার চর
সময় বেলা একটা। আমরা তিনজন দাঁড়িয়ে অর্ধচন্দ্রাকৃতির এক সমুদ্রসৈকতে। গোসল করার জন্য আদর্শ জায়গা। কিন্তু আমাদের ভাবনার জগৎজুড়ে আছে সমুদ্রসৈকত আর তার চারপাশের পরিবেশ। সমুদ্রসৈকতের পেছনে ঝাউগাছের সারি, ঢেউয়ের উথালপাতাল, অসংখ্য মাছ ধরার নৌকা, দূরে জেলেদের অস্থায়ী ছোট একটি গ্রাম মন কেড়ে নিয়েছে আমাদের................................
Saturday, August 6, 2016
মেঘ-বৃষ্টি আর পাহাড় হ্রদের গল্প
এই পথ ধরে অনেকেই গিয়েছেন, অনেকবার। চলতি পথে বিমোহিত অনেকেরই মুখ থেকে অস্ফুটে বের হয়েছে, বাহ্! গন্তব্য আপনাকে টানলেও, পথ ফুরাবে জানলেও আপনি চেয়েছেন পথ যেন না ফুরোয়। রাস্তার দুই পাশে ঘন জঙ্গল, সারি সারি গাছপালা আপনার ভালো লাগাকে অন্য মাত্রা দিয়েছে বারবার। সেসব গাছপালা সরিয়ে আপনি কখনো দৃষ্টি প্রসারিত করেছেন পথের দুই পাশের গাছপালা বা নিচের চমৎকার লেকের দিকে। পাহাড়ের ধাপে ধাপে জুম আর কত না ভালো লাগা, কখনো কখনো জুমচাষি-পাহাড়িদের মুগ্ধ বিস্ময় নিয়ে দেখেছেন...........................................
Tuesday, August 2, 2016
Subscribe to:
Posts (Atom)