Sunday, September 4, 2016

হাজাছড়া শুকনাছড়াই


এ বছর আগস্টের শুরুর দিকে সাজেক উপত্যকা গিয়েছিলাম। খাগড়াছড়ির সাজেক পৌঁছে সেখানকার ঘরবাড়ি, হেলিপ্যাড, মানুষজন, নৃগোষ্ঠীর জীবনযাপন, আর নিসর্গের প্রবল রূপ দেখে মুগ্ধ আমরা। সাজেক থেকে ফেরার পথে আরও কত যে বিস্ময় অপেক্ষা করছিল কল্পনাও করিনি। সাজেককে বিদায় জানিয়ে খাগড়াছড়ি শহরের পথে রওনা হতেই মুঠোফোনে সুমনের ডাক, ‘ভাই হাজাছড়া ঝরনা দেখে আসবেন অবশ্যই।’ ঝরনার কথা শুনে সঙ্গীদের পাশাপাশি আমিও কেমন যেন একটা পুলক অনুভব করলাম। সামনে তাকাতেই দেখি চোখজুড়ানো সবুজ জুম। অনেক দূরে পাহাড়ের গায়ে আটকানো ছোট ছোট ঘরবাড়ি। সে দৃশ্যই যেন টেনে নিয়ে গেল হাজাছড়ার দিকে।................................

Wednesday, August 24, 2016

ঝরনার পথে



বর্ষাকালে বান্দরবান সেজে ওঠে এক অপরূপ সাজে। বৃষ্টির কারণে পাহাড় বেয়ে নেমে আসে বেশ কিছু নাম না জানা নানা রকম ঝরনা। আর সৌন্দর্যকে উপভোগ করার জন্যই নানা প্রতিকূলতাকে উপেক্ষা করে পাহাড়ে ছুটে যাওয়া। 
কিছুদিন আগে বর্ষাকালেই দেখা হলো সেসব ঝরনার ছুটে চলা।

কাইক্ষ্যন বান্দরবানে গহিনের এক ঝরনা। ভরা বর্ষায় অমিয়াখুমের রূপ দেখার.........................................

Sunday, August 21, 2016

মুজিবনগরে এক একদিন








মেহেরপুরের ছোট্ট শহর মুজিবনগর। ভোরবেলায় সেই শহরের সবুজ পথ ধরে হাঁটছি। সামনে দেখি উজ্জ্বল সবুজের মাঝখানে লাল রং। যেন আমাদের পতাকা। সেটিই আমাদের লঞ্চ। আমরা পাঁচজন—কণ্ঠশিল্পী শেখ শাহেদ, স্থপতি আসিফ হোসেন, আবু জাফর, অজয় রায় আর আমি। আমরা ঠিক যেন আলোর ওপর দিয়ে এগিয়ে চলেছি। আশপাশের সবটুকুই আমগাছে ঢাকা। সেসব গাছ ভেদ করেই পুরো.......................................

Thursday, August 18, 2016

নীলকুঠিতে










এখানে প্রচুর পাখি আছে। প্রথম দিন বের হয়েই তা বোঝা গেল। দুইটা হাড়িচাঁচা একসঙ্গে বসে আছে দেখতে পেয়ে ক্যামেরা হাতে আবু জাফরের সে কী দৌড়। যখন ফিরে এলেন, তখন তাঁর চোখেমুখে একরাশ হতাশা। সে ক্লিক করার আগেই নাকি হাড়িচাঁচা ফুড়ুৎ। অনেক চেষ্টা করলেন একটা হলদে পাখির ছবি তুলতে, পারলেন না.................................. 

Wednesday, August 17, 2016

পাহাড়ি ঝরনা

পাহাড়ে ঘুমাতে হবে, এই ব্রত নিয়ে এবার দুই দিনের ছুটি পেয়ে রওনা দিয়েছিলাম মেঘ পাহাড়ের দেশ বান্দরবানে। সঙ্গী ছিল লালমনিরহাটের নাসিরুল আলম মণ্ডল আর বান্দরবানের সব পাড়ায় আত্মীয়তা পাতিয়ে ফেলা নাহিদ ভাই। বান্দরবানের প্রতিটি পাহাড়ের পাড়ায় পাড়ায় এমন কোনো মানুষ নেই যে নাহিদ ভাইকে চেনে না। বান্দরবানের আকাশে যতবার চাঁদ দেখা যায়, তার চেয়েও বেশি নাকি দেখা যায় নাহিদ ভাইকে! তিনজনের সঙ্গী হিসেবে রুমা বাজার থেকে যোগ দিলেন গাইড আলমগীর ভাই। এই মানুষটা অসাধারণ, আজ পর্যন্ত যতবার আমি বান্দরবান গিয়েছি, উনি আমাকে খুঁজে নিয়েছেন, এবারও বাজারে আমাদের দেখে দৌড়ে এলেন, এক কাপড়েই রওনা দিলেন অজানার উদ্দেশে। একবারও জিজ্ঞেস করলেন না—কই যাব, কয় দিন থাকব! একবার শুধু জিজ্ঞেস করছিলাম, আলমগীর ভাই, এক কাপড়ে রওনা দিলেন! উনি চোখ লাল করে আমার দিকে তাকিয়ে বললেন, ‘আপনি লুঙ্গি আনছেন না? তাইলেই হইব..................................................

সূর্য নেমে যায় যেন সমুদ্রে








এখানে শরতের সকালে যেন অন্য রকম এক আয়োজন চলছে। নদীর বুকে ঠিকরে পড়ছে কোমল আলো। যাত্রীরা পড়িমরি করে উঠছে সমুদ্রগামী ট্রলারে। খুব ভোরে চট্টগ্রামের ফিরিঙ্গি ঘাটে পৌঁছালাম তড়িঘড়ি। চলেছি সমুদ্রভ্রমণে। ট্রলারের লোকজনের হাঁকডাক দেখে বুঝলাম, ঘাট চিনতে ভুল হয়নি আমাদের................................

Tuesday, August 16, 2016

নিঝুম দ্বীপ




নিঝুম দ্বীপ প্রথম যাই ২০০২ সালে, এরপর ২০০৪ সালে আরেকবার। সেসব স্মৃতি আবছা। গত অক্টোবরের একদিন আবার নিঝুম দ্বীপ রওনা হলাম। সঙ্গী নাজমূল হক, রাজীব রাসেল, আবদুল বাতিন, নাজিম, মাসুম আর নীরব। ঢাকা থেকে ফারহান-৪ লঞ্চের যাত্রী হয়ে হাতিয়ার জাহাজঘাট তমরুদ্দি পর্যন্ত খুব আরামের ভ্রমণ। তারপর অটোরিকশায় ভাঙা রাস্তার ঝাঁকুনি খেতে খেতে দেড় ঘণ্টায় মোক্তার ঘাট পৌঁছাই। মোক্তার খাল পেরিয়ে এবার.......................................

হেঁটে হেঁটে ঝিরিপথে







বিকেল চারটা। ট্র্যাকে হাঁটা শুরু হয়েছিল ভোর পাঁচটায়। শেষের দিকে দড়ি বেয়ে বেয়ে (রোপ ক্লাইম্বিং) পাহাড়ের যেখানে উঠে এসেছি, তার সামনে তাকাতেই দৃষ্টি আর সরে না। আমরা যেন পাহাড়ের ওপর নয়, পৃথিবীর মাথায় দাঁড়িয়ে স্বপ্ন দেখছি। আকাশ থেকে জলাধার এসে আমাদের ভিজিয়ে দিচ্ছে, আর ভাসিয়ে নিয়ে যাচ্ছে পানির ঝাপটায়। বিভোর আমরা। অন্য কিছুতেই খেয়াল নেই। একদৃষ্টিতে তাকিয়ে........................................

Sunday, August 14, 2016

এশিয়ার সুইজারল্যান্ড



শান্তিপ্রিয় এক দেশ। অনেকে জায়গাটিকে ‘এশিয়ার সুইজারল্যান্ড’ হিসেবেও আখ্যায়িত করে থাকেন। করবেনইবা না কেন! বৈচিত্র্যপূর্ণ জলবায়ু, সবুজ উপত্যকা, হাজার হাজার ফুট উঁচুতে তৈরি পাথুরে রাস্তা, পাহাড়ের ঢালে ধাপে ধাপে নানা কসরতে লাগানো দৃষ্টিনন্দন জুমখেত, কাঠ-পাথর-টিনে তৈরি ঐতিহ্যবাহী বাড়িঘর, পাহাড়ি নদী, শীতের তুষারপাত আর মাথা উঁচু করে সগর্বে দাঁড়ানো হিমালয়—এসব কিছু নিয়েই,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,

অবসর থেকে অবকাশ


অবসর থেকে অবকাশ নিয়েছেন কখনো?

শিকাগো থেকে শীতের ছুটিতে ঢাকায় আসা হলো যখন, পরিকল্পনা মোটামুটি আত্মীয় বাড়ি আর বিয়ে বাড়ি ঘোরাঘুরির মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল। কিন্তু একটানা কাচ্চি বিরিয়ানি আর কত খাওয়া যায়? তার মধ্যে আবার আবাসিক এলাকায় থেকেও ২৪ ঘণ্টা চারপাশে ইমারত নির্মাণের আওয়াজ। কোথায় পাব সবুজ-শ্যামল বাংলা মায়ের বিছানো আঁচল? পাখির কিচিরমিচির? সঙ্গে চাই ইন্টারনেট সংযোগ আর কলে গরম পানি। যাবতীয় আরাম-আয়েশ ছাড়া চলবে না কিন্তু.............................................

Tuesday, August 9, 2016

যদি আশ্চর্য টিলার যাত্রী হতে চান





ফোসস করে একটা হতাশার নিশ্বাস ফেললেন ফিরোজ খান, ‘টুয়েলভ এপাসল আমার যাওয়া হচ্ছে না।’ প্রমাদ গুনলাম আমরা। গ্রেট ওশান রোডের পাহাড়ি বিপজ্জনক পথে বাংলাদেশি প্রতিবেশী ফিরোজ খানই যে আমাদের মূল ভরসা। ফিরোজ খান যদি শেষ মুহূর্তে ফসকে যান, তবে গাড়ি চালাবে কে? তাহলে দরকার নেই এত ঝুঁকি নিয়ে সাগরের মাঝে জেগে ওঠা ওই সব পাথুরে টিলা দেখতে যাওয়ার। আশা ছেড়েই দিয়েছিলাম। কিন্তু বড় ভাই তারিকুল হাসান চৌধুরী সম্পূর্ণ অপ্রত্যাশিতভাবে কঠিন শপথ করে ফেললেন, ‘আমি একাই চালাব গাড়ি।’ অতএব, পরদিনই সকাল সকাল আমরা রওনা হলাম মেলবোর্ন থেকে টুয়েলভ এপাসলের পথে। জায়গাটার কাগুজে নাম পোর্ট ক্যাম্পবেল পার্ক। ওখানেই নীল সাগরের মাঝখানে জেগে উঠেছে ১২ খানা আশ্চর্য সুন্দর পাথুরে টিলা। যিশুখ্রিষ্টের সঙ্গীদের নামানুসারেই তাদের এই নাম................................

Monday, August 8, 2016

আমাদের সোনার চর









ময় বেলা একটা। আমরা তিনজন দাঁড়িয়ে অর্ধচন্দ্রাকৃতির এক সমুদ্রসৈকতে। গোসল করার জন্য আদর্শ জায়গা। কিন্তু আমাদের ভাবনার জগৎজুড়ে আছে সমুদ্রসৈকত আর তার চারপাশের পরিবেশ। সমুদ্রসৈকতের পেছনে ঝাউগাছের সারি, ঢেউয়ের উথালপাতাল, অসংখ্য মাছ ধরার নৌকা, দূরে জেলেদের অস্থায়ী ছোট একটি গ্রাম মন কেড়ে নিয়েছে আমাদের................................

Saturday, August 6, 2016

মেঘ-বৃষ্টি আর পাহাড় হ্রদের গল্প


এই পথ ধরে অনেকেই গিয়েছেন, অনেকবার। চলতি পথে বিমোহিত অনেকেরই মুখ থেকে অস্ফুটে বের হয়েছে, বাহ্‌! গন্তব্য আপনাকে টানলেও, পথ ফুরাবে জানলেও আপনি চেয়েছেন পথ যেন না ফুরোয়। রাস্তার দুই পাশে ঘন জঙ্গল, সারি সারি গাছপালা আপনার ভালো লাগাকে অন্য মাত্রা দিয়েছে বারবার। সেসব গাছপালা সরিয়ে আপনি কখনো দৃষ্টি প্রসারিত করেছেন পথের দুই পাশের গাছপালা বা নিচের চমৎকার লেকের দিকে। পাহাড়ের ধাপে ধাপে জুম আর কত না ভালো লাগা, কখনো কখনো জুমচাষি-পাহাড়িদের মুগ্ধ বিস্ময় নিয়ে দেখেছেন...........................................

Tuesday, August 2, 2016

সোমেশ্বরী নদীর পানি এত ঠান্ডা কেন?

নদীর নাম সোমেশ্বরী। আমরা দাঁড়িয়ে ছিলাম নদীর তীরে। তীর ছেড়ে পা ফেললেই ধু ধু বালুচর। চরের পর নদীর পানি চিকচিক করছে রোদের আলোয়। সূর্যের উত্তাপ টের পেলাম বালুচরে পা রেখেই! শুধু গরম বললে ভুল হবে, তপ্ত উনুনে পা রাখার শামিল! তবে খানিক বাদেই আমাদের জন্য যে এত প্রশান্তি অপেক্ষা করছে, সেটা কে জানত?..................................

পৃথিবী দর্শন সাংহাইতে













ছোটবেলায় বাবার কাছে পৃথিবীর সপ্তাশ্চর্যের কথা বহুবার শুনেছি। সেগুলো আবার বদলেছেও। বিংশ শতাব্দীর ব্যাপক আবিষ্কারের ফলে ‘আশ্চর্য’কেও আর বুঝি সংখ্যায় বেঁধে রাখা যায় না.........................

Monday, August 1, 2016

ইতিহাস যেখানে জীবন্ত



হাতে সময় কম। ভারত যাবেন। অল্প সময়ের মধ্যে কোথায় কোথায় বেড়াতে যাওয়া যায়? একেকজন একেক পরামর্শ দিচ্ছেন। সবার পরামর্শ হলো সময় বেঁধে বেড়াতে যাওয়া ঠিক নয়! কিন্তু আমাদের পরিকল্পনা সাত দিনেরই। যাত্রা কলকাতা দিয়েই শুরু। ঢাকা থেকে ১২ ঘণ্টার ট্রেন ভ্রমণ শেষে পৌঁছবেন কলকাতা। হোটেল আগেই ঠিক করে রাখবেন। পরিকল্পনা ছিল পরদিন দার্জিলিং যাওয়ার। ওখানে তখন বেশ ঠান্ডা, তাই আমাদের নতুন গন্তব্য আগ্রা-জয়পুর................................................

Sunday, July 31, 2016

ঝরনার বাড়ি বা ফলিং ওয়াটার


দক্ষিণ পেনসিলভানিয়ার এক গভীর অরণ্যে আলোছায়া আর গাছপালায় ঘেরা পাথুরে এক পাহাড়ের মধ্যে বয়ে যাচ্ছে এক ঝরনা। এই ঝরনার ওপর ঝুলন্তভাবে (ক্যানটিলিভার ধারণা) তৈরি করা এক স্বপ্নের বাড়ি। এ বাড়ির নাম ‘ফলিং ওয়াটার’। যুক্তরাষ্ট্রে অবসরযাপনের উল্লেখযোগ্য এই বাড়ির নকশা করেছেন বিশ্বখ্যাত স্থপতি ফ্র্যাঙ্ক লয়েড রাইট। এডগার জে কফম্যানের জন্য স্থাপত্য নকশা করেছিলেন তিনি। ১৯৩৫ সালে পরিকল্পনা আর ১৯৩৬ থেকে ১৯৩৯ সাল পর্যন্ত চলে এ বাড়ির নির্মাণকাজ...............................

Saturday, July 30, 2016

বর্ষায় বাংলার রূপ



পৃথিবীর সবচেয়ে সুন্দর দৃশ্য বুঝি বদলে যাওয়া আকাশের রং। যে আকাশ আলতারাঙা ভোর নিয়ে দিন শুরু করে, সে আকাশই আবার ঝকঝকে নীল হয়ে জাপটে ধরে নীল-সবুজের গোল পৃথিবীটা, আর দিন শেষে সোনালি রং ছড়িয়ে সৌরজগৎকে জানিয়ে দেয় এই পৃথিবীটা অমূল্য। আকাশের এই রঙের বদলে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রাখে মেঘ। মেঘ বরাবরই খুব প্রিয়, আর................................

Thursday, July 21, 2016

নদীর এই বাঁকটা অনেক বেশি মোহময়’—নাদিয়ার মুখের কথা শেষ না হতেই দেখি চিকিৎসক নাজমুল হক নদীর বাঁকের ছবি তোলায় ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন। তারপর যতই সামনে এগিয়েছি, কর্ণফুলী নদীর প্রতিটা বাঁক আমাদের শুধুই মুগ্ধ করেছে, বিস্ময়ভরে তাকিয়ে দেখেছি। কখনো ছবি তোলার জন্য ব্যস্ত হয়েছি, আবার কখনো প্রকৃতি উপভোগ করে করে এগিয়েছি। পুরো দুই দিনের প্রায় ২৫ ঘণ্টা আমরা কর্ণফুলী নদীতে ভেসে বেড়িয়েছি। অসাধারণ ছিল সে নদীপথে চলার প্রতিটি মুহূর্ত.............

সুর্য যেখানে ডুব দেয়











অ্যাডভেঞ্চার যাদের নিত্যসঙ্গী, তাদের দড়ি দিয়ে বেঁধেও ঘরে রাখা সম্ভব না। এই যাত্রার শুরুটাই হয়েছে লঞ্চ ধরার অ্যাডভেঞ্চার দিয়ে। যে লঞ্চ ছাড়ার কথা ঠিক বিকেল ৫টা ৩০ মিনিটে, সেই লঞ্চ আমরা টেনেটুনে ঘাটের সঙ্গে আটকে রেখেছি ৫টা ৫৭ মিনিট পর্যন্ত—আমাদের দুজন সময়মতো এসে পৌঁছায়নি বলে। হাদী ভাই আর তামান্না ভাবি সদরঘাটের তীব্র যানজটে সিএনজি ছেড়ে পাক্কা সাড়ে তিন কিলোমিটার দৌড়ে এসে যেই না লঞ্চে উঠলেন, তখনই সশব্দে হুড়হাড় করে ছেড়ে দিল আমাদের ভ্রাম্যমাণ এক রাতের বাড়ি। সেই মুহূর্ত থেকেই অ্যাডভেঞ্চারের শুরু।

Wednesday, July 20, 2016

বর্ষায় কক্সবাজার চলো ঘুরে আসি











শ্রাবণের মুখর বাদল দিন এসে গেছে। বৃষ্টিতে ভিজতে ভিজতে সাগর দেখেছেন? এ অন্য রকম সৌন্দর্য। ভিন্ন রকম মজা। এই আনন্দটুকু উপভোগ করতে এই বর্ষায় চলে যেতে পারেন পৃথিবীর দীর্ঘতম সমুদ্রসৈকত কক্সবাজারে। ভরা মৌসুমের তুলনায় খরচাও বেশ কম।

Tuesday, July 19, 2016

চলো ঘুরে আসি পাহাড়ের দেশে

অনেকে এই পথ ধরে  গিয়েছেন, বহুবার। চলতি পথে বিমোহিত অনেকেরই মুখ থেকে অস্ফুটে বের হয়েছে, বাহ্‌! গন্তব্য আপনাকে টানলেও, পথ ফুরাবে জানলেও আপনি চেয়েছেন পথ যেন না ফুরোয়। রাস্তার দুই পাশে ঘন জঙ্গল, সারি সারি গাছপালা আপনার ভালো লাগাকে অন্য মাত্রা দিয়েছে বারবার। সেসব গাছপালা সরিয়ে আপনি কখনো দৃষ্টি প্রসারিত করেছেন পথের দুই পাশের গাছপালা বা নিচের চমৎকার লেকের দিকে। 

Sunday, July 17, 2016

তরুণ নেতার খোঁজে প্রতিযোগিতা

আগামী ডিসেম্বরে নরওয়ের রাজধানী অসলোতে বসবে তরুণ উদ্ভাবকদের মিলনমেলা ‘টেলিনর ইয়ুথ ফোরাম ২০১৬’। এমন তরুণ, যাঁরা নানা সামাজিক সমস্যার প্রযুক্তিগত সমাধানে নেতৃত্ব দিতে পারেন। সেখানে টেলিনর গ্রুপের বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের তত্ত্বাবধানে বাংলাদেশসহ ১৩টি দেশের তরুণেরা অংশগ্রহণ করবেন। গ্রামীণফোনের আয়োজনে গতকাল শনিবার রাজধানীর একটি হোটেলে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে ফোরামে অংশ নিতে ইচ্ছুক তরুণদের জন্য নিবন্ধন শুরুর ঘোষণা দেওয়া হয়। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন গ্রামীণফোনের হেড অব এক্সটার্নাল কমিউনিকেশনস সৈয়দ তালাত কামাল ও সেন্টার অব এক্সপারটাইজ, পিপলস অ্যান্ড অর্গানাইজেশন বিভাগের পরিচালক সৈয়দ তানভীর হোসেন।

এবারের ইয়ুথ ফোরামের অংশীদার হয়েছে নোবেল পিস সেন্টার। মূলত সে কারণেই সম্মেলনের স্লোগান করা হয়েছে ‘ডিজিটালাইজেশন ফর পিস’। তবে তালাত কামাল বললেন, সময়টা যেহেতু সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ার, তাই কিছুটা কাকতালীয় হলেও স্লোগানের এই ‘শান্তি’ বিশ্বব্যাপী শান্তি প্রতিষ্ঠার প্রতিনিধিত্ব করে।
তানভীর হোসেন বলেন, ‘একই সমস্যার অনেক সমাধান হতে পারে। আমরা চাই সবচেয়ে উদ্ভাবনী সমাধান। এই প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে সমস্যার সমাধান তো পাওয়া যাবেই, একই সঙ্গে বিশ্বব্যাপী সমমনা তরুণদের মধ্যে ধারণা আদান-প্রদানও হবে।’
ইয়ুথ ফোরামে অংশ নিতে আবেদন করা যাবে ৬ আগস্ট পর্যন্ত। বয়স ১৮ থেকে ২৮ বছরের মধ্যে হতে হবে। বাছাই প্রক্রিয়া অনুষ্ঠিত হবে কয়েকটি ধাপে। আবেদনকারীদের মধ্যে প্রাথমিকভাবে ১০০টি ধারণা নির্বাচন করা হবে। ধারণা নির্বাচনে ৪০ শতাংশ শিক্ষার্থী, ২০ শতাংশ শিক্ষক এবং বাকি ৪০ শতাংশ, যারা এই দুটি বিভাগে পড়ে না এমন উদ্ভাবকদের প্রাধান্য দেওয়া হবে। এরপর উদ্যোক্তা, শিক্ষক ও গ্রামীণফোনের কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে গঠিত বিচারকদের প্যানেল কয়েকটি ধাপে তিন বিজয়ী নির্বাচন করবেন। তাঁদের ধারণার উপস্থাপনার ভিডিও পাঠানো হবে নরওয়ের মূল বিচারকদের কাছে। সেখান থেকে দুই বা তিনজনের সবাইকে মূল পর্বে আমন্ত্রণ জানাবেন। নিবন্ধন করার ঠিকানা www.telenor.com/youthforum। এ ছাড়া গ্রামীণফোনের ওয়েবসাইট ও ফেসবুক পেজ থেকেও নিবন্ধন ও প্রতিযোগিতা সম্পর্কে তথ্য পাওয়া যাবে।

Tuesday, June 28, 2016

রাতের অন্ধকারে মোবাইল ব্যবহারের ফল অন্ধত্ব



iv‡Z evwZ †bfv‡bvi ciI †KD †KD A‡bKUv mgq ¯§vU©‡dv‡b gMœ _v‡Kb| †KD P¨vU K‡ib, †KD gywf ev A¨vwb‡gkb †`‡Lb, Avevi †KD ev AbjvB‡b Lei c‡ob| wKš‘ AÜKv‡i ¯§vU©‡dvb e¨envi †ek SyuwKc~Y©| G‡Z `„wó nviv‡bvi Avk¼v _vK‡Z cv‡i e‡j weªwUk wPwKrmKiv Rvwb‡q‡Qb|
27 eQi eqmx GK ZiæYx †ivR Ny‡gv‡bvi Av‡M AÜKvi N‡i ¯§vU©‡dvb †PK Ki‡Zb| AšÍZ Ava NÈv| ZvI Avevi GK †Pv‡L| Ab¨ †PvL gv‡b evg †PvL XvKv _vK‡Zv evwj‡k| GKw`b †`Lv †Mj Wvb †Pv‡Li `„wókw³ nvwi‡q †d‡j‡Qb IB ZiæYx| 
Av‡iKwU NUbvi K_v ejv †h‡Z cv‡i| GK ga¨eqmx bvix mviv w`b wb‡Ri N‡iB _vK‡Zb| NiwUi `iRv-Rvbvjvq fvix c`©v Syjv‡bv _vK‡Zv| wZwb mKv‡j Nyg fvOvi ci GK †PvL evwj‡k †X‡K Aci †Pv‡L c‡o wb‡Zb ¸iæZ¡c~Y© me Lei| wZwb nVvr †Lqvj Ki‡jb Zvi Wvb †Pv‡Li `„wó m‡i hv‡”Q| Wv³v‡ii Kv‡Q †M‡j Rvbv †Mj Zvi Kwb©qv ¶wZMÖ¯Í n‡q‡Q|
wPwKrmKiv Rvbvb, `ywU NUbvi †¶‡ÎB `„wónxbZvi Rb¨ `vqx ¯§vU©‡dv‡bi w¯Œb †_‡K wbtm„Z Av‡jv| GKwU †PvL XvKv _vKvq †mwU †ewk ¶wZ Ki‡Q †h †PvLwU †Lvjv Av‡Q †mwU‡K| KviY †mB †iwUbvi Ici †ewk Pvc co‡Q| ZvB AÜKv‡i ¯§vU©‡dvb e¨envi Kiv †_‡K wb‡R‡K weiZ ivLyb|

Monday, June 20, 2016

Monday, June 13, 2016

our new house


our home


কী মজা

সৌদি আরবের জনপ্রিয় খাবার ফুল-তমিজ। সেখানে সকাল-সন্ধ্যার নাশতায় ফুল-তমিজ থাকে। 
ফুল হলো একধরনের শিমের বিচি পিষে বানানো তরকারি। এক বাটি ফুলের দাম দুই রিয়াল।
আর তমিজ হলো রুটি। আকারে বেশ বড়। দুজন মিলেও একটা তমিজ শেষ করা যায় না। একটা রুটির দাম এক রিয়াল।
তমিজ ঠান্ডা হয়ে গেলে খাওয়া যায় না। তাই গরম-গরম খেতে হয়।
ফুল দিয়ে তমিজ খাওয়ার মজাই আলাদা। তবে ডাল দিয়েও তমিজ খাওয়া যায়।
মূলত আফগানি দোকানে ফুল-তমিজ বেশি পাওয়া যায়। 
মক্কার মিসফালাহ গ্রিন পার্কের কাছে আফগান দোকানে ফুল-তমিজ বিক্রি হ

Sunday, June 12, 2016

ami jani amake ki korte habe

রোজা পালনের সময় অনেকেই গলা ও বুকে জ্বালা অনুভব করেন। খাদ্যাভ্যাস ও সময়সূচির আকস্মিক পরিবর্তনের কারণে এই সমস্যা হতে পারে। সাধারণত পাকস্থলীর পরিপাক-রসের শক্তিশালী অম্ল বা অ্যাসিড যাতে ওপর দিকে খাদ্যনালিতে প্রবেশ করতে না পারে, সে জন্য খাদ্যনালির প্রান্তে একটি ভাল্ভের মতো অংশ থাকে। এটি কোনো কারণে দুর্বল হয়ে পড়লে অ্যাসিড ওপরে উঠে যায়। তখনই গলা ও বুকে জ্বালা-যন্ত্রণা হয়।
স্থূলতা, ডায়াবেটিস, গর্ভাবস্থা প্রভৃতি কারণে এ সমস্যা বাড়তে পারে। হঠাৎ করে বেশি তেল-মসলাযুক্ত খাবার, চকলেট, কফি, অ্যাসিডযুক্ত ফল (যেমন: লেবু বা টমেটো), জুস ইত্যাদি খেলে বুকজ্বালা বাড়ে। একসঙ্গে অনেক বেশি পরিমাণে খাবার গ্রহণের ফলেও এ রকম সমস্যা হয়। রমজানে গলা-বুক জ্বলার সমস্যা এড়াতে কয়েকটি পরামর্শ:
* ইফতারে এক সঙ্গে অনেক খাবার না খেয়ে ধীরে ধীরে বিরতি নিয়ে খান। শুরুতেই অতিরিক্ত তেল-মসলাযুক্ত খাবার খেয়ে ফেললে সমস্যা বাড়বে। প্রথমে হালকা খাবার দিয়ে শুরু করুন, যেমন: শরবত, খেজুর, কাঁচা ছোলা বা ফলমূল।
* পেট ভরে খাওয়ার পর অনেক পানি একসঙ্গে পান করবেন না। গ্রীষ্মের লম্বা দিনে রোজা রেখে পানির চাহিদা পূরণ করতে প্রচুর পানি পান করতে হবে বটে, তবে কিছুক্ষণ পর পর। সাহরিতে তাড়াহুড়া নয়, ধীরে সুস্থে খান।
* ইফতার বা সাহরির পরপরই শুয়ে পড়ার প্রবণতাও খারাপ। খানিকক্ষণ বসে বই পড়ুন, টিভি দেখুন বা হালকা হাঁটাহাঁটি করুন। ধূমপান বর্জন করুন।

Saturday, June 11, 2016

amader katha

লমান অভিযানে মূলত বিরোধীদলীয় নেতা-কর্মী, মাদক ব্যবসায়ী ও গ্রেপ্তারি পরোয়ানাভুক্ত আসামিসহ নাশকতার মামলার আসামিদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। প্রথম আলোর বিভিন্ন জেলার প্রতিনিধিদের পাঠানো তথ্যে দেখা যায়, ২৪ জেলায় কমপক্ষে ২৫০ জন বিরোধী রাজনৈতিক নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তার ও হয়রানির ভয়ে বিভিন্ন জেলায় বিএনপি-জামায়াতের কর্মীরা পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। কয়েকটি জেলায় বিরোধী নেতা-কর্মীদের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে টাকা না দিলে গ্রেপ্তারের হুমকি দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
পুলিশ কর্মকর্তারা বলেন, সাঁড়াশি অভিযানে গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে পরোয়ানাভুক্ত আসামি ১ হাজার ৮৬১ জন। এ ছাড়া নিয়মিত মামলায় ৯১৭ জন, মাদক মামলায় ৩৫৮ জ

Thursday, June 9, 2016

BBC Environment Analys

It means if developers want to build a new housing estate, they're not allowed to plug into the main drainage sewer and thereby increase the flood potential of the system.
Instead they should catch water on the site with porous surfaces, grassy hollows to collect heavy rains, and on-site mini wetlands.
Some house-builders oppose mandatory SUDS, partly because it cuts their profit and partly because there are tricky questions about long-term liability for maintenance

Unacceptable risk'

Committee chairwoman Mary Creagh urged the government to pay for the upkeep of existing flood defences, as well as investing in new ones.
The government said it was investing "record amounts to protect the nation".
The EAC report follows the storms that hit the UK between December 2015 and January 2016, causing flooding in the north of England and Wales, as well as parts of Scotland and Northern Ireland.
The losses suffered during storms Desmond, Eva and Frank led to insurance claims of £1.3bn.

'Unacceptable risk'

Dr Roger Pierce, whose York home flooded in December last year, told the BBC it had been "devastating".
"You've lost your heating, you've lost your lighting, it's desperately cold.... You realise that photographs and things on ground level in your house have all been destroyed," he said.